Home সারাদেশজামিন পেয়েই উধাও শেরপুরে আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক

জামিন পেয়েই উধাও শেরপুরে আ’ লীগের সাধারণ সম্পাদক

by Md Akash
০ comments

শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. চন্দন কুমার পাল সাত মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনের পর কারাগার থেকে বেড়িয়েছেন। এরপর থেকেই তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ বলছেন তিনি পালিয়ে ভারতে গিয়েছেন, কেউবা বলছেন তিনি দেশেই আছেন।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি শেরপুর জেলা শাখা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে এনিয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলাই হত্যাকান্ডের মূলহোতা চন্দন কুমার পাল, যিনি তিনটি হত্যা মামলাসহ মোট সাতটি মামলার আসামী। তাকে আদালত কর্তৃক জামিনে মুক্তি দেওয়ার ঘটনায় জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, চন্দন কুমার পালকে আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া উপেক্ষা করে জামিন প্রদান করা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করেছে। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে ক্ষমতাসীন মহল এখনও বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। চন্দন কুমার পাল ছিলেন এ জেলার ফ্যাসিস্ট দমন-নীতি, দুর্নীতি, লুটপাট, দুঃশাসন ও গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের অন্যতম হোতা। তার মতো অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া মানে জুলাই আহত-শহীদ ও সর্বসাধারণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা এবং গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই-এই মুক্তি শেরপুরবাসীর ন্যায্য দাবি, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।

জানা গেছে, ৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ও হত্যা মামলাসহ সাত মামলার আসামি গত ৯সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে শেরপুর জেলহাজত থেকে মুক্তি পান। মুক্তির পরে জেলগেট থেকে ওই দিনই ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় পুলিশ চন্দন পালকে আবারও গ্রেফতার করে। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে চন্দন কুমার পালের জমিন হয়। এরপর সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

শেরপুর জেলা কারাগারের জেলার আব্দুস সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা বিএনপির আহবায়ক এড. সিরাজুল ইসলাম জানান, আমরা শুনেছি চন্দন কুমার পালের মুক্তির কথা। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে আপনাদের জানাতে পারবো।

উল্লেখ্য, চন্দন কুমার পালের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলায় ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর ভারত যাওয়ার সময় বেনাপোল বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে শেরপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

শেরপুর প্রতিনিধি

You may also like

Leave a Comment