মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিট্কা আনন্দ মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের এক খন্ডকালীন শিক্ষক ও এক খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটরকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটার পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বরখাস্ত হওয়া দুইজন হলেন— বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মেহেদী হাসান ও খন্ডকালীন কম্পিউটার অপারেটর জহিরুল ইসলাম। এর আগে এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মেহেদী হাসানের কক্ষে নকল পাওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর দশম শ্রেণির ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিদ্যালয়ের তৈরি প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া যায়। ফলে ওই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ছাপানো প্রতিষ্ঠানকেও বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর ১৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবির অভিযোগ তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মেহেদী হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনোভাবেই এর সাথে সম্পৃক্ত নই।”
একইভাবে জহিরুল ইসলামও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “২০১৬ সাল থেকে আমি এ বিদ্যালয়ে কাজ করছি। আগে কখনও এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হইনি।”
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজা সাইফুল ইসলাম জানান, প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং সভাপতি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিগার সুলতানা চৌধুরী জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বাতিল করে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
