মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলায় ছিনতাইয়ের সময় তিন যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে টংগিবাড়ী থানার সোনারং ইউনিয়নের বাহেরপাড়া ব্রীজ এলাকায়। ভুক্তভোগী নাজিয়া আক্তার ইভা (২৪), স্বামী বিদেশে থাকায় প্রায়ই বান্ধবীর বাড়ি যাতায়াত করতেন। সেই সুবাদে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে স্থানীয় যুবক ফয়সালের (২৮)। ওই সম্পর্কের সুযোগ নিয়েই ফয়সাল ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল তার দুই সহযোগী—সানি আলম (২৯) ও রাকিব (২৮) কে সঙ্গে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নাজিয়াকে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে বাহেরপাড়া ব্রীজে নিয়ে আসে। সেখানে পৌঁছেই তারা নাজিয়ার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সানি আলম হাতে থাকা চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে তার গলা থেকে ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা) এবং ৬ আনা ওজনের কানের দুল (মূল্য প্রায় ৬৫ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়। নাজিয়া আক্তার ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে তিন ছিনতাইকারীকে ঘটনাস্থলেই ধরে ফেলে। পরে তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
টংগিবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের চেইন ও একটি কানের দুল উদ্ধার করে। বর্তমানে আসামিরা থানা হেফাজতে রয়েছে।
টংগিবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা নং ১২, তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, দণ্ডবিধির ৩৯২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ফয়সাল ও তার সহযোগীরা এলাকায় আগে থেকেই নানা অসামাজিক কাজে জড়িত ছিল। কিন্তু এভাবে নারীর অলঙ্কার ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী নাজিয়া আক্তার বলেন,
“আমি কখনো ভাবিনি, এত কাছের একজন পরিচিত লোক আমাকে এমনভাবে প্রতারণা করবে। আল্লাহর রহমতে স্থানীয়রা আমাকে রক্ষা করেছে, নইলে হয়তো আজ আরও বড় ক্ষতি হতো।”
টংগিবাড়ী প্রতিনিধি

